লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগনেতা হত্যা : আরেক আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগনেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগনেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় মুরাদ হোসেন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নয়। অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুরাদ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর ভাগিনা বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার (১ জুলাই) দিনগত রাত ৯টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুরাদ রামগঞ্জ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নোমান-রাকিব হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি।’
গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে এ মামলায় মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।