ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য
ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের অভিযোগের মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকালে নাসির ও তামিমা আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। এরপরে তাদের উপস্থিতিতে আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সাক্ষ্য দেন তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবা ও মামলার বাদী রাকিবের মামা লুৎফর রহমান।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। তবে, নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে, সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
পরবর্তীতে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি গ্রহণ শেষ হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালত আসামি ও বাদীপক্ষের পৃথক দুটি রিভিশন খারিজ করে দেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে, পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী মেয়ে মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।