নোয়াখালীতে দুদিনে পানিতে ডুবে আট শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর তিন উপজেলায় পৃথক পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ মোট পাঁচ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার কবিরহাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক দুটি উপজেলায় পানিতে যুবে আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত দুদিনে জেলায় পানিতে ডুবে মোট আট শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ যেসব শিশু মারা গেছে তারা হলো- কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছিদ্দিক ভূঁইয়া বাড়ির আবু নাছেরের ছেলে রিফাত (৯) ও রিফান (৭), সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের মো. হোসেনের মেয়ে রিয়া বেগম (৯), হোসেন মিয়ার ভাই সালাউদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আক্তার (১১) এবং হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের লামছরি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে নিহা (৫)।
গতকাল মারা যাওয়া শিশুরা হলেন- সেনবাগ উপজেলার নিঝুম, সুবর্ণচরের সামিয়া আক্তার ও বিবি আয়েশা।
কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিদার উল আলম বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। ওই সময় প্রতিবন্ধী রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পানিতে পরে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পরে তাদের স্বজনেরা শিশুদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, সকালের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় শিশু নিহা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্য বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
অপরদিকে, বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামে নিজ পুকুরে পরে গিয়ে ডুবে মারা যায় রিয়া বেগম (৯) ও তার চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার (১১)। সাঁতার না জানা এই দুই বোন ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে আসে।
চরজব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওয়ারেছ বলেন, ‘সবার অগোচরে ওই দুই শিশু পানিতে পরে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে তাদের পরিবার। পরে, পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।’