চ্যালেঞ্জ করছি, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলছি—বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।’ আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লার ডিএনডি এলাকা পরিদর্শনে এসে কর্মিসভায় অংশ নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাকে ফেল করিয়ে তাকে পাস করিয়েছিল মোহাম্মদ আলী ভাই। তারা আবার মাঠে নেমেছে। সেনাবাহিনী কি চোর? তারা কি চুরি করে। ওরা বলে পার্সেন্টেজ নেয়। কত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার কর্মীরা বলে আর কত চুপ করে থাকব। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলছি বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না। খোঁচা দিয়ে কথা বলবেন না, জনগণ সমর্থন দিলে দিবে।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি কোথাও প্রভাব খাটাইনি। বিএনপি-জামায়াত রাজনীতি করুক। তারা জাতির পিতার কন্যাকে নিয়ে যেসব কথা বলছে। আমাদের বয়স হয়েছে কলিজা ছোট হয়নি। নেত্রীকে গালি দিয়ে স্লোগান দেন? দৌড় দিয়ে পোষাবে না। জনগণ আমাদের ক্ষমতায় উৎস। যা করব জনগণকে নিয়েই করব।’
এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন। প্রথম এয়ার এটাক করেছেন। রেডিও, পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছিলেন। আমার শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। সামনে সময় খারাপ। দেশটাকে একটা শ্রেণি আমাদের পরাধীন করতে চায়। সবাই এসে আমাদের এখানে কথা বলে। আমরা মাথা নত করতে আসিনি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাকিস্তানি বাহিনী নাকে খত দিয়েছিল। আর আমরা তাঁকে মেরে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মোশতাকের বংশধররা আছে। সাদা চামড়া দেখলেই গোলামি শুরু করে, গান গাওয়া শুরু করে। এটা স্বাধীন বাংলাদেশ। কেয়ারফুল থাকেন আগামী তিন মাস। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করবে। নির্বাচন বন্ধ করার জন্য অনেক খেলা হবে। তবে নির্বাচন হবে এবং জাতির পিতার কন্যাই প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
পরে ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং বাঁধের মধ্যে বসবাসকারী ফতুল্লার চার নং ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত লালপুর পৌষাপুকুরপাড় এলাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন শামীম ওসমান। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা শুনেন এবং অতি দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন করবেন বলে আশ্বাস দেন। নোংরা পানিতে নেমে লালপুর-পৌষাপুকুরপাড়বাসীর দুর্দশা সরেজমিন দেখেন তিনি।
এ সময় লালপুর-পৌষাপুকুরপাড়বাসীকে শামীম ওসমান বলেন, ‘আগামীকাল থেকেই এখানে একটি পাম্প বসানো হবে। এই পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। এই বর্ষার পুরো মৌসুম এই পাম্প চলবে। তবে আশা করি আগামী বর্ষা থেকে আর পাম্পের প্রয়োজন হবে না।’