মোসাদের সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে : ওবায়দুল কাদের
ইসরায়েল ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইসরায়েল ও তার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে। বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ধরনের দেশবিরোধী অপতৎপরতার সঙ্গে বিএনপি সর্বদা জড়িত থাকে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করেছেন। একজন রাজনৈতিক নেতার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাকর।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন হ্যাকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে? তথ্য-প্রমাণসহ তা উল্লেখ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করা বেআইনি।’
কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনগড়া এই বক্তব্য তাদের চলমান অপপ্রচার ও গুজব-সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা। ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও বিদেশিদের প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ষড়যন্ত্রমূলক এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আহ্বান জানাব, জল ঘোলা করার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারি সব সংস্থা সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। জনগণের ভোটেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং ভবিষ্যতেও সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক এ ধারা অব্যাহত থাকবে। জনগণের ভোট প্রদানের সুযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপিসহ সকল অপশক্তির যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে।’
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনো প্রকার ব্যতয় ঘটেনি। অতীতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড জনগণ প্রতিহত করেছে। তাই আমরা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাব, নির্বাচনবিরোধী অবস্থান পরিত্যাগ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি মনোযোগী হোন।’