শেখ হাসিনা অপেরা হাউজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জায়গা পরিদর্শন
সিডনির অপেরা হাউজের আদলে নির্মিত হবে শেখ হাসিনা অপেরা হাউজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রকল্পটি রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের পরিবর্তে মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে নির্মাণের লক্ষ্যে জায়গা পরিদর্শন করলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব খলিল আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে সন্ন্যাসীরচর এলাকায় হাইওয়ে থানা সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। এ এলাকাকে অপেরা হাউজ নির্মাণের জন্য আদর্শ স্থান বলে জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আ. লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শাজাহান মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সিডনির অপেরা হাউজের আদলে শেখ হাসিনা আধুনিক অপেরা হাউজ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাদেশে করতে চাই। এই অপেরা হাউজের নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকার হাতিরঝিলে। কিন্তু সেখানকার যে জনবসতি ও যানবাহন তা এটির জন্য সামঞ্জস্য হচ্ছে না। সেই কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা চিফ হুইপের সাহায্য চেয়েছি। সেই মোতাবেক আমরা আজ শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে জায়গা পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের কাছে এ জায়গাটি অপেরা হাউজের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা মনে হয়েছে। যে বিশাল জায়গা প্রয়োজন, সেটা এখানে আছে। অপেরা হাউজ দৃষ্টিনন্দন করতে জলাভূমি লাগে। আড়িয়াল খা নদ এখানে আছে। এই নদে জোয়াড় ভাটা হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবকিছু থাকবে এখানে। যেহেতু চিফ হুইপ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেহতেু প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুমোদন চাইব। খুব দ্রুত সমীক্ষা করে এই সরকারের মেয়াদকালেই নকশার কাজ সম্পন্ন করব।’
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পরেই আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে সুন্দর একটি এলাকা। অনেক প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী এখানে দিয়েছেন। এই প্রকল্পও আমরা স্পোর্টস সিটির পাশেই করার চেষ্টা করছি।’
চিফ হুইপ আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের কাজও এগিয়ে নিচ্ছি। সুন্দর পরিবেশের জন্য এটিই উপযুক্ত স্থান। রেল স্টেশনের পাশেই এটি নির্মিত হলে মানুষ অনেক সুবিধা পাবে। মন্ত্রী মহোদয় এ এলাকা পছন্দ করেছেন, আমরা এ জায়গা দিতে প্রস্তুত আছি।’