সেপ্টেম্বরে তফসিল পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকব : ওবায়দুল কাদের
সেপ্টেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সাথে রাজপথে আছি, থাকব। এটা হলো অভিন্ন কর্মসূচি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদেশিরা এসেছেন। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, যে ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তা হলো এবার আর সরকারের উপায় নাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়ত সরকারকে বলে দেবে, এই ভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে। জনমনে একটা ধারণা ছিল। শেষ পর্যন্ত কি হলো? তারা মূলত বলেছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা বলেছে। ভিসা নীতি আসবে, এ ধরণের কোনো উক্তি তারা করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।’
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব। বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না, দল কয়টা সেটাও জানে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তাদের সেই ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণঅভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা- গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁক-ডাক দিল, নেতাকর্মীদের বুঝাতে চাইলো, এবার সরকার পতন। এবার তারা পদযাত্রায় গেল। তাদের যে শক্তি সমাবেশ দরকার, তা তারা করতে পারছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে, এর কৃতিত্ব পুরোটা একজন ব্যক্তির। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীদলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। দল অনুযায়ী আমরা, আমাদের সংগঠনগুলো আগের তুলনায় অনেক সংগঠিত হয়েছে।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন থেকে দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোণাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।