হিরো আলমকে মারধর, যা বলল ইসি
হিরো আলমের মারধরের ব্যাপারে নির্বাচন কশিমনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিষয়ে আমরা সঠিক অবস্থাটা পুরোপুরি এখনও জানতে পারেনি। আমরা জানার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত যেটা জেনেছি, তা হলো; স্বতন্ত্র প্রার্থী যিনি ছিলেন, উনি উনার সমর্থকসহ কেন্দ্রের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। সঙ্গে প্রায় ৭০ জনের মতো ইউটিউবার নিয়ে উনি ঢুকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, নির্বাচনি কার্ড ছাড়া তো ইউটিউবার ঢুকতে পারেন না।’
আজ সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ভোটগ্রহণ শেষে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ইসি আলমগীর এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘তখন গেটে পুলিশ আটকে দিয়েছিলেন। পুলিশে বলেছিলেন, না এখানে তো আপনি ওদের সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। আপনি আপনার এজেন্টসহ ঢুকতে পারবেন। তখন হিরো আলম পুলিশের সঙ্গে বেশ তর্কাতর্কি করেছিলেন।’
মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘যাই হোক পুলিশ তখন বুঝিয়ে-টুঝিয়ে তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রর মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ রাস্তায় যখন উনি বের হয়ে আসছেন, তখন উনাকে কে বা কারা ধাওয়া দিছে অথবা শারীরিক নির্যাতন করছে। এটা অত্যান্ত দুৎখজনক ঘটনা। এটা আমরা কামনা করি না।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘যারা এটা করছে, তারা অবশ্যই অন্যায় কাজ করছে। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। এবং, পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে। এ ছাড়া এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত তদন্ত করে গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং আমাদের জানাতে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকাদ্দমা যা দেওয়ার সব দেওয়া হবে।’
কত শতাংশ ভোট পড়তে পারে, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘ঢাকার ব্যাপারে যদি বলা হয়, তাহলে এটা খুবই কম। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট হিসাবটা আমরা পাইনি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মতো হতে পারে। বা সর্বাধিক ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে। আর সাত পৌরসভার ভোটে একটিতে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ আছে। আর সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশও আছে।’