কিডনি চিকিৎসায় নতুন মাইলফলক বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের
সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দেশের কিডনি চিকিৎসায় নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। সোমবার (১৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
কিডনি প্রতিস্থাপনে অংশ নেওয়া চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন এ সেবা দেশের চিকিৎসা খাতে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিএসএমএমইউর রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ ম্যানেজমেন্ট, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারসহ যাবতীয় বিষয়ে উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধাগুলোর মতোই আছে।
অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মোহাম্মদ সাইফুল হোসেন (চিফ সার্জন অব ডোনার) বলেন, ‘এ দেশের যে রোগীরা দেশের মধ্যে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট অপারেশন করতে চান, তারা অবশ্যই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আসবেন।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদেশে যারা যান, তাদের উদ্দেশে বলব, এ দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা অন্য অনেক দেশের চেয়ে উন্নত।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত এই হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটারে সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সুবিধা চালু থাকবে। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ ছাড়া ১৪ দিনের কিডনি প্রতিস্থাপন প্যাকেজে রোগীকে খরচ করতে হবে ৩ লাখ টাকা।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এসব রোগীর মধ্যে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয় প্রতি বছর। এসব বিকল রোগীর ৭৫ শতাংশই মারা যায় ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজনের সুযোগের অভাবে। এ ছাড়া হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে প্রতি বছর আরও ২০ হাজার রোগী মারা যায়।