জেলায় জেলায় বিএনপির পদযাত্রা
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত ১২ জুলাই ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করেন নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা ও বিভাগীয় শহরেও। এনটিভির প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।
তারেক স্বপন, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীর ঢল নামে মহাসড়কে। আজ বিকেল ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, মাশুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।
এ বি এম ফজলুর রহমান, পাবনা : পাবনায় পদযাত্রা করেছে জেলা বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শহরের গোপালপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দুপুর ১টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন তারা। এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও থানা নেতাকর্মী বাস-ট্রাকে এসে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। পরে মিছিল সহকারী পদযাত্রা অংশগ্রহণ করে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদযাত্রাটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে জজ কোর্ট মোড় হয়ে পৌরসভা ও টেকনিক্যাল মোড় ঘুরে অন্তত বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, আবু ওবায়েদ শেখ তুহিন, নুর মোহাম্মদ মাসুম বোগা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদ রহমান মাসুদ খন্দকার প্রমুখ।
কাকন রেজা, শেরপুর : শেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা হয়েছে। আজ দুপুরে খরমপুর মোড় থেকে শুরু হয় এই পদযাত্রা। পরে তা রঘুনাথ বাজারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলসহ অন্য নেতারা এই সভায় বক্তব্য দেন।
ফজলে এলাহী, রাঙামাটি : রাঙামাটি জেলা বিএনপির পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পদযাত্রা শুরু হয় বিকেল সোয়া ৩টায়।
জেলা শহরে বিএনপির কাঠালতলির কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি নিউমার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রায় দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সাবেক যুগ্ম জেলা জজ অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব) মণীষ দেওয়ান ও সাবেক পার্বত্য উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান অংশ নেন এই পদযাত্রায়।
মো. আফজাল হোসেন, ভোলা : ভোলায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি পদযাত্রা করেছে। ভোলা শহরের রাজপথ ছিল নানা স্লোগানে মুখরিত।
দুপুর ১২টায় শহরের মহাজনপট্টিতে বিএনপির কার্যালয় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। এর আগে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য গোলাম নবী আলমগীর।
এ সময় বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, হারুন অর রশিদ ট্রুমেন, হুমায়ুন কবির সোপানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
পরে পদযাত্রার শুরুতেই শীষ মহলের সামনে পুলিশি বাধায় পড়ে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের চাপে পিছু হটে পুলিশ। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শহরের সদর রোড, বাংলাস্কুল মোর, উকিলপাড়া হয়ে জুগির ঘোল গিয়ে পদযাত্রাটি শেষ হয়।
আব্দুল আজিজ শিশির শরীয়তপুর : সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ শরীয়তপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। সকাল ১১টায় জেলা শহরের ধানুকা এলাকার রানী মহল থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। ধানুকা স্টেডিয়াম গলিতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ৯টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রানী মহলে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ দাবি করেন।
এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার : শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন। পদযাত্রায় অংশ নিতে বেলা ২টার পর থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা জড়ো হন। পরে পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পশ্চিমবাজার চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পদযাত্রা শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন এম নাসের রহমান। নাসের রহমান বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আজকে সারা বাংলাদেশের শুধু পদযাত্রা নয়, বিজয়ের জয় যাত্রা শুরু হয়েছে। এর আগে সভা হয়েছে, সমাবেশ হয়েছে, আমরা শান্তিপূর্ণনভাবে বিক্ষোভ করছি। এই অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এক দফা এক দাবি, দাবি এখন একটাই।’ নাসর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু আমরা বিএনপি নই, ৩৬টি রাজনৈতিক দল একযোগে ঘোষণা দিয়েছে, এই সরকারকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। এ দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পদত্যাগ যাত্রা শুরু করেছি। এটা হচ্ছে বিজয়ের যাত্রা। এই যাত্রার মধ্য দিয়ে ইনশা আল্লাহ আমরা আমাদের এক দফা দাবি আদায় করব। এই ভয়াবহ দানবীয় অবৈধ দখলদার সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করব।’
জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফয়ছল আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, সহসভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আশিক মোশাররফ, মো. হেলু মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সহসভাপতি বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহ উর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রশীদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জি এম এ মোক্তাদির রাজু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির মোহাম্মদ, পৌর যুবদলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান শিপন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলু আহমদ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমদসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতারা।
আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ : বিএনপির কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শহরে পদযাত্রার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে শহরের বেউথা মোড় এবং সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন (বিজয় মেলা) মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।
আজ দুপুরে পদযাত্রা বের করলে জেলা শহরের বেউথা মোড় এলাকায় পুলিশ তা আটকে দেয়। পরে সেখানেই সমাবেশ করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
বেলা ১১টা থেকে জেলা শহরের বেউথা সেতুর দক্ষিণপাশে সমবেত হতে থাকেন জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন সহস্রাধিক নেতাকর্মী। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা।
এ সময় নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। পদযাত্রাটি সেতুর উত্তরপাশে বেউথা মোড় এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়। এরপর নেতাকর্মীরা সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন এবং সমাবেশ করেন।
এ সময় জেলা বিএনপিনেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদের সঞ্চালনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বক্তব্য দেন।
আফরোজা খান রিতা বলেন, ‘আজ দেশে কোনো নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। এ জন্য রাজপথে নেমেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। শান্তিপূর্ণ এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতেও পুলিশের বাধা। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরে আফরোজা খান রিতা বলেন, ‘সামান্য একটি উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাঙ্গামা করে। এতেই বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার কত দুর্বল। তারা জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে।’
পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলা শহরে পদযাত্রা না করতে অনুরোধ করা হয়। পরে তারা বেউথা মোড় এলাকায় সমাবেশ করে।
শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর : আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। আজ বিকেলে শহরের চিত্রলেখা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, ‘সবাই নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করুন। পুলিশের তালিকা আমাদের দরকার নেই। পুলিশ গণতন্ত্রের পক্ষেই থাকবে। যারা গত ১৫ বছরে আমাদের নেতাকর্মীদের আক্রমণ করেছে, বাড়িঘর দখল করেছে—তাদের তালিকা করুন। আইনমতো সব মোকামিলা করা হবে। আপনারা সবাই বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগ আমি বলব শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি এখনই যা। আমরা আর তোমাকে এক মিনিটও দেখতে চাই না। আমাদের নেতা তারেক রহমান আন্দোলনের একটা প্ল্যান করে আগাচ্ছেন, যাতে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে। আপনারা আজকে প্রমাণ করে দিয়েছেন চাঁদপুর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত।’
চাঁদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনূর রশীদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন হারুনূর রশীদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহসভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমউস সালাম, সহসভাপতি ডা. শামীম আহমেদ, শরীফ মো. ইউনুছ, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, বিএনপিনেতা তানভীর হুদা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন বাবর, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম মন্টু, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক ,জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্যাহ খোকন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন প্রমুখ ।
এর আগে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়।
আতিকুর রহমান সোহাগ, বগুড়া : বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বাঁধা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল, ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ সতেরজন আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির। অন্যদিকে, দশ পুলিশ সদস্য আহত ও একজন আইসিইউতি ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এ ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরজুড়ে বিপুল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আজ বেলা ১২টায় শহরের বনানী মোড় হতে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে পৌছিলে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এসময় টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও গুলির ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, একই সময় দুই প্রধান দলের কর্মসূচি থাকায় ও যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ সময় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সদর পুলিশ ফাঁড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের দশজন আহত হন। একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।