হিরো আলমকে মারধরে দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী
হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সন্ধ্যা (১৯ জুলাই) সাতটা থেকে শুরু করে রাত সোয়া এগারোটা পর্যন্ত দীর্ঘ চারঘণ্টার বেশি সময়ের বৈঠকে হিরো আলমকে মারধরের ঘটনা নিয়ে কথা তোলার পর এমন সিদ্ধান্ত আসে বলে জানিয়েছেন ১৪ দলীয় নেতারা।
গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মারধর করার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। সবাই বলেছে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের কেউ জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিরো আলমকে নিয়ে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, ‘হিরো আলমকে মারধর করার বিষয় নিয়ে চৌদ্দ দলীয় বৈঠকে কথা হয়েছে। সবাই বলেছে, নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তো নয়ই, তাকে কেনো মারধর করতে হবে।’
এর সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন নিজের দলের কেউ থাকলেও আইনের আওতায় আনবেন।
বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ বলেন, ‘হিরো আলমকে কারা হিরো বানাচ্ছে, এটা দেখতে হবে। কারা আক্রমণ করেছে সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি, যারা মারধর করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
চৌদ্দ দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, পলিট ব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু , সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি জহির হাসান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের সভাপতি আইভী আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, সদস্য হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজাহার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।