পাবনায় প্রচারপত্র বিলিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
পাবনায় একটি মসজিদের সামনে রাজশাহীতে সমাবেশ ঘিরে বিএনপির প্রচারপত্র বিলি চলছিল। এ নিয়ে বিএনপি ও যুবলীগকর্মীদের বাকবিতণ্ড হয়েছে। এর একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) জুমার নামাজের পর পাবনা সদরের হাজিরহাট এলাকায় মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নামাজের পর প্রচারপত্র বিলি করছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা মসজিদের সামনে প্রচারপত্র বিলিতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বয়ক শিবলী সাদিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মসজিদের সামনে জোড়পূর্বক প্রচারপত্র দেওয়ার চেষ্টার সময় আমরা বাঁধা দিয়েছি। মসজিদের সামনে লিফলেট বিতরণ এবং মানুষকে জোড়পূর্বক নিতে বাধ্য করায় সামান্য বাকবিতন্ডা হয়।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগামী ২৮ জুলাই বিএনপির রাজশাহীর সম্মেলন উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচারপত্র বিলি করতে শহরের আরিফপুর হাজিরহাট এলাকায় যায়। সেখানে প্রচারপত্র বিলির সময়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তুজা বিশ্বাস সনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিএনপির লোকজন মসজিদের সামনে দাড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছিল। এ সময় যুবলীগের সদস্য সচিব শিবলী সাদিক ওই মসজিদে নামাজ পড়ে তাদের মসজিদে লিফলেট বিতরণ করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে ঝামেলা হয়।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, যু’বলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রচারপত্র বিলি নিয়ে ঝামেলা হয়। শুক্রবার নামাজের পর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে শুনেছি। এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সনি বিশ্বাসের ছোট ভাই পনি বিশ্বাসের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।’ তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে।’