তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা, চলছে তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে আজ শনিবার (২২ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ। এতে অংশ নেবেন ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগীয় অঞ্চলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির উদীয়মান নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এই সমাবেশে যোগ দিতে অনেকেই ঢাকায় চলে এসেছেন। আজ সকাল থেকে ঢাকার পথে আরও অনেকে। এদিন রাজধানীর প্রবেশদ্বার আমিন বাজার, কেরাণীগঞ্জ, পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে। পথচারীদের করতে দেখা গেছে জিজ্ঞাসাবাদ, চলছে তল্লাশিও।
সকালে রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজ ও পোস্তগোলা ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখান দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। পথে আছেন পথচারীরাও। এই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সেখানে যাত্রীবাহী পরিবহণগুলোতে তল্লাশি চলছে। সড়কে সন্দেহ হলেই পথচারীদেরও করা হচ্ছে তল্লাশি। সেখানে কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, আজ তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপির একদফা দাবি বাস্তবায়নের অঙ্গিকারের পাশাপাশি আসতে পারে নতুন বর্তা। গতকালই শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ প্রস্তুত, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা এখন জালিম সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়। এখন আর কোনো প্রতিবাদ নয়, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।