চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি (জাপা) বলছে, সংবিধান ও তত্ত্বাবধায় সরকার বুঝি না, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আজ রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত করতে হবে। সংবিধান ও তত্ত্বাবধায় সরকার বুঝি না, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিতে চাই।  আমরা ফর্মুলা দিতে পারি, সকল দল থেকে ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে ইলেকশন নয়, সিলেকশন হতে পারে। বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে। তারা একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে।’

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘পেশাদার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে এখন আর নির্বাচন হয় না। সিলেকশন করে দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ধারা ধ্বংস করে কর্তৃত্ববাদী একনায়কতন্ত্র চালু করেছে। আগামী নির্বাচনেও যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আর রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল থাকবে না। দেশ এক নেতার অধীনে চলে যাবে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করা হবে।’