পরী মণির করা ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বিচার হবে ক্যামেরা ট্রায়ালে
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির করা মামলার ক্যামেরা ট্রায়াল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে পরী মণি উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন।
এদিন পরী মণি সাক্ষ্য দেওয়ার এক পর্যায়ে আদালতকে বলেন, ‘আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়াল করতে চান। সে সময় পরী মণির আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।’
এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর পরীমণি তাঁর স্বামী রাজকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এসময় আসামি অমি ও শহিদুল হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ থাকায় নাসির উদ্দিন সময়ের আবেদন করেন। দুই আসামির উপস্থিতিতে পরী মণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আদালত পরী মণির আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলায় আসামিরা হলেন—ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি।
২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরী মণি। পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, ‘বোট ক্লাবে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলাসহ খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তাঁরা পরী মণিকে মারধরের হুমকি দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।’
এ ছাড়া, মামলার এজহারভুক্ত আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কৌশলে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পরীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে, মামলার পর নানা ঘটনা প্রবাহে বাদী পরী মণি নিজেই আসামি হয়ে যান। গত বছরের ৪ আগস্ট মাদক মামলায় পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। এরপর ওই মামলায় পরী মণিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি।