ড. ইউনূসসহ তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ চেম্বার আদালত। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। এই আদেশের ফলে, মামলাটি যে আদালতে যে পর্যায়ে আছে, আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত সে পর্যায়েই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ‘শ্রম আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ জুলাই রুল জারি করেন। রুলটি স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল। আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সে পর্যন্ত মামলাটি যে আদালতে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই থাকবে।’
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আদালত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। আগামী ২৭ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও শ্রম আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারবে না। আর গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটির অভিযোগ গঠন বাতিল নিয়ে যে রুল দিয়েছেন, চেম্বার আদালতের এই স্থিতাবস্থা না তোলা পর্যন্ত সেই রুলের শুনানিও হবে না।’
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী না করা, অর্জিত ছুটি না দেওয়া এবং কল্যাণ তহবিলে মুনাফার পাঁচ শতাংশ না দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আসামি করা হয়। ইউনূস ছাড়া অন্য তিন আসামি হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নুরজাহান বেগম, মো. আশরাফুল হাসান ও মো. শাহজাহান।
গত ৬ জুন শ্রম আইনের ৩০৩(ঙ) ও ৩০৭ ধারার অধীনে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে, ১৯ জুন শ্রম আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ স্থগিত ও আদেশটি বাতিল প্রশ্নে রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিরা। দুপক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে গত ২৩ জুলাই হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।