রাজধানীতে এবি পার্টির ‘না’ মিছিল, বিরোধী দলের ওপর হামলার প্রতিবাদ
সরকার পতনের চলমান একদফার প্রতি সংহতি ও দলীয় দুই দফা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘না’ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে বর্তমান সরকারের সব ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘না’ বলার আহ্বান ছিল এই মিছিলের মূল প্রতিপাদ্য।
বেলা ১১টায় দলের প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেনতেনভাবে দেশের ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্খা শেখ হাসিনাকে বেসামাল করে তুলেছে। বিদেশিদেরকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছে, যেটার পুরো দায় বর্তমান অবৈধ সরকারের।’
‘দেশের উত্তর প্রজন্ম আওয়ামী বাকশালকে ক্ষমা করবে না’ উল্লেখ করে তাজুল রাজধানীর প্রবেশমুখ গুলোতে বিএনপিসহ বিরোধীদলের কর্মসূচিতে ব্যাপক পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নির্যাতন করে কোনো একদলীয় স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি, হাসিনা সরকারেরও হবে না।’
দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে আমরা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছি, আওয়ামীলীগ কোনো না কোনোভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। আজকে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে নেতাদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গ্রেপ্তার প্রমাণ করে, সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়।’
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মিনার বলেন, ‘সরকারি দল শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ‘শান্তি কমিটি’ যেভাবে গ্রামে, শহরে, মহল্লায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, এখনও সেরকম গুম, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
‘না’-মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, বি এম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এ বি এম খালিদ হাসান, আনোয়ার সাদাত টুটুল, আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, আবু হেলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাদীউজ্জামান খোকন, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, আবুল বাশার, আমিনা বেগম, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।