সাগরে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সামুদ্রিক জলসীমায় অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ বন্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের কারণে অনেক দেশ মৎস্য শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় আমাদের জলসীমায়ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে বেপরোয়া চেষ্টা চালানো হয়। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ বন্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ফিশারিজ সাবসিডিজ ইন দ্যা কনটেক্সট অব এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প এ কর্মশালা আয়োজন করে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্পদের সম্ভার রয়েছে। এই সম্পদ আমাদের সুনীল অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের পরিমিত ও টেকসই আহরণে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সমুদ্রে মাছ ধরা সব নৌযান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এসব নৌযান মনিটরিংয়ের জন্য ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। সামুদ্রিক মৎস্য নৌযানসমূহ দিয়ে মৎস্য আহরণ একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালে মৎস্য খাতে কি হবে সেটা মোকাবিলার জন্য দূরদৃষ্টি দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা দুটিকে মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা দেবে। মৎস্য রপ্তানিতে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার না থাকলে আমাদের বিকল্প পথ বের করতে হবে। মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে হবে ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে।’
কোনভাবেই সম্ভাবনাময় মৎস্য খাতকে থমকে যেতে দেওয়া হবে না জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, নীতি সহায়তা দেবে। বেসরকারি খাতে কেউ মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন করতে চাইলে সরকার সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করবে। মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফ সুবিধা দেবে। মৎস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দেবে সরকার।’