তারেক-জুবাইদার রায় নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
জ্ঞাত বহির্ভূত আয়ের অভিযোগে দুটি ধারায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নয় বছর এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে এই দম্পতিকে। এই রায়ের মাধ্যমে দেশে যে আইনের শাসন রয়েছে তা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ মামলা করা হয়। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে এই মামলা চলে। রায়ের মাধ্যমে মামলাটির বিচারিক কাজ শেষ হয়েছে। আমি মনে করি, দেশে যে আইনের শাসন আছে, তারই প্রতিফলন এটি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যদি এরকম দুর্নীতি করে সেখানে সাজা দেওয়া উচিত।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। তারাই দুর্নীতির মামলা করেছিল। বিএনপি যদি বলে ফরমায়েশি রায়, তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান আছে কি না আমার সন্দেহ রয়েছে।’
নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে বিভ্রান্ত করার কি আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে, রায় বেরিয়েছে। আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছে দণ্ডপ্রাপ্ত। আরেক দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছর দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। নতুন করে এটা দিয়ে ওনার ভাবমূর্তি খারাপ করার তো আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না।’
আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করাতে সরকারের উদ্যোগ থাকবে কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবসময়ই থাকবে। সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আসামিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।’
দ্রুত গতিতে বিচার করা হয়েছে বিএনপির এই অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে বলা হয়, এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূলগতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয়, বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে, তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো। কে দোষী বা নির্দোষ এটা আদালতের ব্যাপার। দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করা উচিত।’