বিএনপির ১৮ আইনজীবীর আগাম জামিন শুনানি সোমবার
সুপ্রিম কোর্ট বারে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১৮ আইনজীবীর আগাম জামিন শুনানি সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (৬ আগস্ট) সকালে আগাম জামিন পেতে আইনজীবীরা কয়েকটি আদালতে আবেদন রাখেন। পরে, বিচারপতি মোস্তফা জামানের আদালতে সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিকে মামলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজও উচ্চ আদালতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বার এসোসিয়েশনের সামনে থেকে শুরু করে আদালতে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আইনজীবীরা। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
এর আগে ৩ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারি সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ বাদী হয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কায়সার কামাল ছাড়াও সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মো. কাইয়ুম, মো. সাগর হোসেন, মো. রেজাউল করিম রেজা, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মাহবুবুর রহমান খান, রবিউল আলম সৈকত, মো. নজরুল ইসলাম ছোটন, রেদোয়ান আহমেদ রানজিদ, মো. মাহমুদ হাসান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনিসুর রহমান ও খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বারের সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর এবং এক আইনজীবীকে পিটিয়ে আহত করাসহ নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে কক্ষ ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২২ আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা। তবে তাদের অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা। বারের বর্তমান সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ থানায় নিয়ে যান অ্যাডভোকেট জেসমিন জাহান করিম। তবে থানা থেকে তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এহসানুর রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের রায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমিতির সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।