পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে। এই স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে দুদেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কারণে। কোভিড-১৯ অতিমারীর পর চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ভারসাম্যপূর্ণভাবে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে সব ধরনের বাণিজ্য বাধা অপসারণ জরুরি। বিশেষ করে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে।’ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি ভারতের বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দকৃত মিরসরাই ও মংলায় অবস্থিত দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুততার সঙ্গে শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেন।

ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তারা উভয় দেশের অধিকতর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগেরও আগ্রহ প্রকাশ করে।

ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য বিমসটেক চেম্বার অব কমার্স চালু করারও প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।