ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নো নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী শুনানি করেন।
গত ৩ আগস্ট ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ পরিবর্তন করে নতুন বেঞ্চে পাঠায় আপিল বিভাগ। ইউনূসের মামলা বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
এর আগে, গত ২৩ জুলাই নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষরঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পরে, এই রুল বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২১ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী না করা, অর্জিত ছুটি না দেওয়া এবং কল্যাণ তহবিলে মুনাফার পাঁচ শতাংশ না দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আসামি করা হয়। ইউনূস ছাড়া অন্য তিন আসামি হলেন- প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নুরজাহান বেগম, মো. আশরাফুল হাসান ও মো. শাহজাহান।
একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।