তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সব করবে বিএনপি : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, সবই করবে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো। আজ বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবী গণতন্ত্র জোটের আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় দুদু এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় বাতিল এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এতদিনে সবাই জেনে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যা যা করা দরকার, বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো করবে। এটা যদি আপনারা মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হবে।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘অসম্মানিত হওয়ার আগে পদত্যাগ করলে সেটা হবে আপনাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা। আজকে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনোভাবে সমাধান করা যাবে না।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘আজকে তারা ক্ষমতায় আছে বন্দুকের জোরে। আবার তারা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এদের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক নেই। গণতন্ত্রের সর্ম্পক নেই। শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের সঙ্গে মিল আছে উগান্ডার, নাইজেরিয়ার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগকে শতভাগ দলীয়করণ করেছে। আগে সরকারের লুটপাটের কথা বিরোধী দল বলত, এখন বিদেশিরাও বলছে। আমেরিকার দুর্নীতিবিষয়ক সম্পাদক এসেও বলছে, কীভাবে দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সরকার ভয় পেয়েছে। দেশকে বিদেশিদের চারণভূমিতে পরিণত করছে সরকার। শুধু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে নাই, স্বাধীনতাকেও বিপন্ন করেছে তারা।’
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ডিজিটাল আইন বাতিল করে সাইবার আইন করার উদ্যোগ নিয়ে আইনমন্ত্রী কী করলেন, তা নিয়ে জনগণের মাথাব্যথা নেই। দুই-এক মাসও না, হয়তবা এমনও হতে পারে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনাদের পদত্যাগ করা লাগবে।’
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আসাদুল হক অহিদুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, সাঈদ খান, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার, রমিজ খান, ওমর ফারুক ও অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।