দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রিটেন
বাংলাদেশ ও ব্রিটেন পারস্পরিক সুবিধার্থে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বুধবার (৯ আগস্ট) তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠকে এ ঐকমত্য হয়।
ফরেন-কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ এ বিষয়ে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃটিশ হাইকমিশনার স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের পর ব্রিটিশ বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এক ঘণ্টার বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধার্থে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে নতুন দিগন্ত অনুসন্ধানে সম্মত হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে সারাহ কুক বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া।’
নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
বৈঠকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সে সম্পর্ক এখন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে এবং তা আগামী দিনে আরও জোরদার করা হবে।’
বৈঠকে উভয়েই অভিবাসীদের অপরাধ নিয়েও আলোচনা করেন এবং অবৈধ অভিবাসনরোধে একে অপরকে সাহায্য করার ইচ্ছা পোষণ করেন। এছাড়া জলবায়ু ও জ্বালানি ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।