নিখোঁজের দুদিন পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের দুদিন পর পাবনার আতাইকুলায় আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জোসনা ও সায়াম নামের এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে আতাইকুলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের দড়ি শ্রীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খাইরুল ইসলামের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ হন কুদ্দুস প্রামানিক। নিহত আব্দুল কুদ্দুস দড়ি শ্রীকোল গ্রামের সিরহাব প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিঁখোজ হন আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার নিখোঁজ ব্যাক্তির স্যান্ডেল, গামছা ও একটি রশির সূত্র ধরে দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। তাকে পূর্ব শত্রুতার জেড়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুনসী বলেন, ‘কুদ্দুস প্রামানিক ছোটবেলা থেকেই অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনো বিরোধে জড়ায়নি সে। আমরা তার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘কীভাবে কুদ্দুস প্রামানিককে হত্যা করা হয়েছে এখনও বলা সম্ভব হচ্ছে না। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি বলা যাবে। এ ঘটনা নিয়ে আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’