সালিশে গৃহবধূকে মারধর : ইউপি সদস্যসহ চার জন কারাগারে
চাঁদপুরের কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামে বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সালিশ বৈঠকে প্রকাশ্যে আকলিমা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ চার জনকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আকলিমা আক্তার বলেন, নয় বছর আগে আমার স্বামী আব্দুর রহিম মারা যান। পরে আমি একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ঢাকায় কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করি। বুধবার বিকেলে কচুয়ার ৬ নং উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সিংআড্ডা গ্রামের অধিবাসী ফরিদ আহমেদের বাড়িতে আমার দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক বসে। এসময় আমার প্রথম স্বামীর (ভাসুরের ছেলে) ভাতিজা আলমগীর সালিশ চলাকালীন সময়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
এসময় স্থানীয়রা সালিশ বৈঠকে গৃহবধূ আকলিমা আক্তারের ওপর মারধরের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিকটিম ঘটনার দিন রাতে কচুয়া থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ ও তার ভাই জসিমসহ চার জনকে আটক করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, বুধবার রাতে ভিকটিম আকলিমা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই চারজনকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।