নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্য সৃষ্টির অপচেষ্টা : অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্য করতেই লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।
এই রায়ের প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বলেন, এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীন না। বর্তমান সরকার আদালতকে তার কাজ সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে।
অলি আহমদ আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৪ সন পর্যন্ত এটা সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। সুতরাং অ্যাডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে এর কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক্ষেত্রে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগ আনা প্রযোজ্য নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারও বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আইনসম্মত নয়।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ী রেদোয়ান আহমেদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাছাড়া অভিযোগকারী জনৈক নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানকালে রেদোয়ান আহমেদ এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযাগ আনেননি। ১/১১ এর সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এ সমস্ত অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দেন।
অলি আহমদ আরও বলেন, প্রসিকিউশনে সাক্ষীগণ কেউই রেদোয়ান আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেননি। আইও তার মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেছেন। আইও ড. রেদোয়ান আহমেদ এর পক্ষে আদালতের সম্মুখে জেরায় কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি অভিযোগের সময়কালের অর্থাৎ ২০০১-২০০২ অর্থবছরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেননি, ২০০১-২০০২ অর্থবছরের হিসাবের খাতও তিনি পর্যালোচনা না করে অনুমান ভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করেছেন।
অলি আহমদ বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ২০০৩ সনের মে মাসের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ঐ সময় থেকে দীর্ঘ ২৩ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ড. রেদোয়ান আহমেদ এর কাছে কোন টাকা পাওনা আছে মর্মে কোন দাবি করা হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় যে, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ আত্মসাৎ করেননি।