বড় ছেলের পাশে শায়িত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জামায়াতনেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। পিরোজপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন কবরস্থানে বড় ছেলে রফিক বিন সাঈদীর পাশে শায়িত হন তিনি।
এর আগে বেলা দেড়টায় সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তার আগে পুলিশি প্রহরায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ আজ সকাল ১০টায় সাঈদী ফাউন্ডেশনে পৌঁছে। জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন ঢাকার শহীদবাগের বাসা থেকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, লুটপাট, ধর্মান্তরিত করানোসহ বিভিন্ন অপরাধে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে তিনি আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। সেই থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
গতকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত রোববার বিকেলে কারাগারে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাঈদী। পরে তাঁকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কারাকর্তৃপক্ষ কারা-অ্যাম্বুলেন্সে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পাঠানো হয়।