যুবদল নেতা রুবাইয়েদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ রিজভীর
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার আগের মতোই সর্বনাশা কর্মকান্ড শুরু করেছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'খুলনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদকে ঢাকার শ্যামলীর নিজ বাসার সামনে থেকে আজ বিকেলে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।’
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'দেশজুড়ে পরিকল্পিত ছকের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরী করা হয়েছে। এদের আমলে চলে আসা গুম, ক্রসফায়ার ও অপহরণ এখন জোরেসোরে শুরু হয়েছে। গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হচ্ছে না, বর্তমান সরকারের দায়েরকৃত ৯/১০ বছর পূর্বের মিথ্যা মামলায় তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়ার ধুম শুরু হয়েছে।’
মামলা, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যেকোনো স্থান ও দিনে—রাতের যেকোনো সময় তুলে নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, 'আজ খুলনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদকে ঢাকা শ্যামলীর নিজ বাসার সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত স্বীকার করছে না। স্বামীর সন্ধানে রুবায়েদ এর স্ত্রী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে আহাজারী করছেন।’
রিজভী বলেন,'জনগণের প্রবল শক্তির ঢেউ তাদের দিকে যাতে ধেয়ে যেতে না পারে সেজন্য বেছে বেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলের তরুণ নেতাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্য চলমান রাখতেই খুলনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে এখনও স্বীকার করছে না। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহসম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।