বঙ্গবন্ধুর খুনিকে হস্তান্তর করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি সাজাপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক জানি না কেন, কার নির্দেশে এবং কী উদ্দেশ্যে তারা (মার্কিন) তাকে (রাশেদ চৌধুরী) ফিরিয়ে দিচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র প্রবলভাবে সোচ্চার এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু, জাতির পিতার হত্যাকারীকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিলে বাংলাদেশিদের কষ্ট লাগে এবং হতাশ করে।’
সরকার জানতে পেরেছে যে, বঙ্গবন্ধুর দুই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনি- রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরী যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করছে। এছাড়া অন্য তিন পলাতক—খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহউদ্দিন খানের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনও পলাতক। আমরা দুজনের কথা জানি, একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন কানাডায়। অন্য তিন পলাতক আসামির অবস্থান এখনও জানা যায়নি।’
পলাতক খুনিদের ধরতে অভিযানের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশের সব মিশনকে চিঠি দিয়েছে বলেও জানান ড. মোমেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় মোট ১২ জন বরখাস্ত সামরিক অফিসারকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে এবং একজন বিদেশে মারা গেছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারের শেষে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।