পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আট দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে দানবাক্স খোলার পর থেকে টাকা গণনা চলছে।
জানা গেছে, দানবাক্সে বাংলাদেশি টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এবার দানবাক্স খোলা হয়েছে তিন মাস ১৩ দিন পর।
আজ সকালে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে বাক্সগুলো খোলা হয়।
দানসিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে ২৩টি বড় বস্তায় টাকা ভরা হয়। পরে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। টাকা গণনায় মসজিদ-মাদরাসার ১৩৮ জন ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০০ জনের বেশি অংশ নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এর অন্তর্ভুক্ত মাদরাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এছাড়া দানের টাকায় জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় টাকা দেওয়া হয়।’
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে এখানে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।’
এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ৬ মে দান দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ছয় দিন পর আটটি দানসিন্দুক খুলে ১৯ বস্তা থেকে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।