শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সশ্রম কারাদণ্ড, এ্যাবের উদ্বেগ
যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রেহমান এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ড. মাহমুদুর রহমানকে সশ্রম কারাদণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর পরদিন শুক্রবার সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার হাছিন আহমেদ এক বার্তায় এ্যাবের পক্ষ থেকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যৌথ বিবৃতিতে এ্যাব সভাপতি ও মহানচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বেচ্ছাচারী ও কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার ভিন্ন মতের মানুষের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড প্রদানের ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ইঞ্জিনিয়ার ড. মাহমুদুর রহমানকে বানোয়াট মামলায় সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ তারা বলেন, ‘যারা ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার টার্গেট করেছে।’
এ্যাবের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দুই খ্যাতিমান সম্পাদককে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
‘জনগণ এই ফরমায়েশী রায়কে প্রত্যাখান করেছে’ দাবি করে নেতারা বলেন, ‘এ ধরণের সাজা প্রদানের ঘটনা আওয়ামী সরকারের গভীর নীলনকশারই অংশ।’
এ্যাবের সভাপতি ও মহাসচিব বলেন, ‘আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী অবৈধ সরকার স্বীয় উদ্দেশ বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম—নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। যত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, জনগণ আর ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দেবে না। আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে জনগণ।’
এ্যাব নেতারা বলেন, ‘আমরা এ্যাবের পক্ষ থেকে সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ড. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রতিহিংসামূলক মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাঁদের সাজা বাতিলের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’