মেঘনায় নয়টি বাল্কহেডসহ নয় জন আটক
নৌপথ নিরাপদ রাখতে নৌপুলিশের বিশেষ অভিযান চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে অভিযান চালায় নৌপুলিশ। রোববার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার দশানী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেখান থেকে নয়টি বাল্কহেড জব্দসহ নয়জনকে আটক করেছে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. মুনিরুজ্জামান, বেলতলী ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. বাবর আলী খানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জব্দ হওয়া বাল্কহেডগুলো হলো নিউ শাহজালাল, আল হাদিত, এম বি ওসমত আলী, এম বি সাইফুল ইসলাম, এম বি সোনারতরী, এম বি বন্দিশাহ-২, এম বি বিশাল সমিতি-১, এম বি আবুল উলাইয়া, এম বি কাবার পথে-২। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. মনির হোসেন, মোবারক মিয়া, নিজাম উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, সোহেল, বাছির, রিয়াজ উদ্দিন, সেলিম মিয়া ও আমরু মিয়া।
সোনারতরীর মাস্টার বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে সাতক্ষীরা নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতি রাতে বালুবাহী কমপক্ষে শতাধিক বাল্কহেড যাতায়াত করে। আমার বাল্কহেডের রেজিস্ট্রেশন নেই।’
নৌপুলিশ জানায়, মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর সীমানায় অসংখ্য বাল্কহেডের কারণে লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাতে চলাচল করার সময় এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে। নদীর মধ্যে যত্রতত্র বাল্কহেড নোঙর করে রাখায় বিশেষ করে রাতের বেলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে বাল্কহেড চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, বাল্কহেডের বেশির ভাগ অংশই পানিতে ডুবে থাকে। এ ছাড়া লাইটিংয়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। এতে দ্রুতগামী নৌযানের সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ ঘটতে পারে। রাতের অন্ধকারে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।