সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে সরকারকে অ্যামনেস্টির চিঠি
প্রস্তাবিত সাইবার সিকিউরিটি আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক ধারাগুলো রয়ে গেছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আইনটির খসড়া পর্যালোচনা শেষে এ দাবি করে সংস্থাটি। একইসঙ্গে এই আইনের খসড়া নিয়ে অংশীজনের মতামত গ্রহণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন শাখার উপসচিব মো. ইউসুফের কাছে এ সংক্রান্ত একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে অ্যামনেস্টি।
চিঠিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘যখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (সিএসএ) ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল করার কারণে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু সতর্ক করেছিলাম, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট যেন অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো দমনমূলক না হয়।’
অ্যামনেস্টির চিঠিতে বলা হয়, ‘সিএসএর প্রাথমিক খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তাতে আগের আইনের মতো দমনমূলক ধারাগুলো রয়েছে, যা ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার অধিকারকে হুমকি ও সীমিত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।’
সংস্থাটি আরও জানায়, ‘খসড়ায় দেখা গেছে সাইবার নিরাপত্তা আইনেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বিধানগুলোকে ধরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচারের আগে আটকের ব্যাপক ক্ষমতাসহ অন্যান্য ধারা, যা ক্রমাগতভাবে হুমকি দিতে এবং (বাক স্বাধীনতা) কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। অথচ, বাংলাদেশে সবার স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন আগের একই ধরনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মতোই। নতুন এই আইনও সাংবাদিকদের ভয় দেখানো, হয়রানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও ভিন্নমত দমনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।’