বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানিতে সাত বিচারপতি বিনা কারণে বিব্রতবোধ করেছিলেন : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগেরবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও হাইকোর্টের সাত-সাতজন বিচারপতি বিনা কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেছিলেন। এই সাতজন বিচারপতিকে বিএনপি ২০০২ সালে পুরস্কৃত করে আপিল বিভাগে নিয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগস্ট ট্রাজেডি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও জয়লাভ করাতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়লাভ করাতে না পারলে এই দেশকে বিএনপি-জামায়াত মিলে বিরাণ করে ফেলবে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতি চাই না। সময় এসেছে, তাদের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহম্মদ আলী সিকদার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফিজুর রহমান, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক মিনার মনসুর।