ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গোলজার হোসেনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর সুত্রাপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির।
এ সময় মামলার বাদী নিহত আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে কোণ্ডা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক (অপারেশন) সরজিত উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরের দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তাঁর দগ্ধ বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী। পরে এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শম্পা আক্তারকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুণ্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, তাজুল ইসলাম তানু, মো. আসিফ ও গুলজার হোসেন।
কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, রায় ঘোষণার পর থেকে পলাতক ছিলেন গোলজার হোসেন। আজ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। বাকি দুই আসামি শিহাব আহমেদ শিবু ও রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুণ্ডা আমিন এখনেও পলাতক।