মৃত্যু পরোয়ানাও বঙ্গবন্ধুকে টলাতে পারেনি : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পাকিস্তানি শাসকদের লোভ, লালসা, হুমকি, চোখ রাঙানি, মৃত্যু পরোয়ানা কোনো কিছুই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের পথ থেকে টলাতে পারেনি।
মন্ত্রী গতকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বেসিস আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালেও বিমানবন্দরে জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব করে বঙ্গবন্ধুর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো প্রস্তাবই মেনে নিবেন না বলে ভুট্টো সাহেবকে সাফ জানিয়ে দেন। কোনো পরিস্থিতিতেই বঙ্গবন্ধু আপন নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে বিচ্যুত হননি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, আটষট্টির আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের ভূমিকা তুলে ধরেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাংলা ভাষার রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এ দেশের লেখক, সাহিত্যিক ও উপন্যাসিকদের ভূমিকা অতুলনীয়। মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মায়েরা–বোনেরা নিজেরা না খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়েছেন। নিজেরা গোয়াল ঘরে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকতে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা আর কে হতে পারে?’
নাটককে একটি জাতির সঠিক লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে আন্দোলিত করতে নাটক যে কতবড় শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে একনদী রক্ত নাটকটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাড়ে উনিশ বছরের শাসনামলে ডিজিটাল কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে কাজ করতে হবে।’
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং নাট্যকার রেজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।