কুমিল্লায় বাড়ির আঙিনায় মাল্টা চাষ করে সফল কৃষক
মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। কুমিল্লার তিতাসে বাড়ির আঙিনায় মাল্টা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক কামাল উদ্দিন। তিনি বর্তমানে তিতাস উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর হলেও চাকরি করার সুবাদে তিতাস উপজেলায় সপরিবারে বাস করছেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে ৪৫টি মাল্টার চারা এনে বাড়ির আঙিনায় ২০ শতাংশ জায়গার মধ্যে মাল্টা চাষ শুরু করেন ইউপি সচিব কাজী কামাল উদ্দিন। প্রথম বছর অল্প পরিমাণ মাল্টার ফলন হলেও এবছর প্রতিটি গাছে ৪০-৫০টি করে মাল্টা ঝুলছে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। এ ছাড়াও বাড়িটিতে রয়েছে কমলা, লেবু, পেঁপে, ড্রাগন, পেয়ারা, সফেদা, মরিচ, এলাচ, দারচিনি, করমচা, বেলেম্বো, কাঁঠাল, নারকেল, আমড়া, ল্যাংড়া ও রুপালি আমসহ প্রায় ২৫ ধরনের ফল গাছ।
এদিকে বাড়ির আঙিনায় খালি জায়গাকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের একটি ফলজ বাগান সফলতার মুখ দেখায় বাগানটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে গ্রামের লোকজন আসেন তার বাড়িতে। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আঙিনায় বাগান করায় আগ্রহী হয়েছেন।
ইউপি সচিব কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন গাছ পাগল। ছোট বেলা থেকে গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে ভালোবাসি। তাই বাড়ির আঙিনার খালি জায়গাকে কাজে লাগানোর জন্য মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির বাগানটি করেছি। চাকরি করার পাশাপাশি অবসর ও ছুটিরদিনে বাগানে সময় দিয়ে থাকি। যেকোন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ির আঙিনায় যদি মাল্টা চাষ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কাজী কামাল উদ্দিন তার বাড়ির আঙিনায় মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আমরা সবসময় তাকে পরামর্শ দিয়েছি। তার এ মাল্টা চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে মাল্টার চাষ শুরু করেছেন। আমরা এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’