সমাবেশে যোগ দিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঢল
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশ আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীতে প্রবেশ করছে সারাদেশ থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশকে ঘিরে বেশকিছু দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অফলাইনে চলছে ছাত্রলীগের ব্যাপক প্রচারণা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে উদ্দীপ্ত মেজাজে মিছিল-শোডাউন করে।
সমাবেশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা অনেকে রাত কাটিয়েছেন ঢাবিসহ বিশ্বিবিদ্যালয়, কলেজের হলের রুমে, মসজিদে, গেস্টরুমে ও বারান্দায়। সকালে থেকেই তারা শোডাউন, মিছিল আর স্লোগানে জানান দিচ্ছেন তাদের উপস্থিতি। সমাবেশকে কেন্দ্রকে অনেক ইউনিটই বানিয়েছেন বিশেষ টি-শার্ট, ক্যাপ।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়েছে ঢাবির মল চত্বর, মুহসীন হলের মাঠসহ ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তায়।
এদিকে, সমাবেশকে ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরগাঁও থেকে এসেছেন ফারুক আহমেদ। জেলা ছাত্রলীগের এই কর্মী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে যখন রংপুরে গিয়েছেন তখন আমি সেখানে ছিলাম না। এ জন্য তার কথা সরাসরি শুনতে পারিনি। আজ আমি এখানে আসার প্রধান কারণ, সরাসরি তার বক্তব্য শোনা। একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগের এই মহাসমাবেশ সফল করতে এসেছি।’
সমাবেশে আসা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘বাংলার ছাত্র সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার ঠিকানা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে তাকে বিজয় উপহার দেওয়ার শপথ নিতে আমরা এখানে এসেছি। শেখ হাসিনা আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, তা আমরা তৃণমূলে পৌঁছে দেব।’