ছাত্রলীগ তারুণ্যের শক্তি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৭ সালে আমার বিরুদ্ধে যখন মিথ্যা মামলা হয়েছিলো, সে সময় ছাত্রলীগ আন্দোলন করেছে ও মাঠে নেমেছে। আমি মনে করি, ছাত্রলীগ তারুণ্যের শক্তি। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠান আমার মায়ের স্মরণে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয় এবং আমার মাকেও হত্যা করা হয়। জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছেন ; তখন আমার মা তাকে সহযোগিতা করে গেছেন। ১৯৭৫ সালে মৃত্যুকালে তিনি সাথী ভোলেননি; জীবন ভিক্ষা চাননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিও কিন্তু ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলাম। আমার কেবিনেটের অনেকে ছাত্রলীগ করে আসা। তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় ছাত্রলীগ কোন আপোষ করেনি। সেজন্য ছাত্রলীগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কোভিড ১৯ এর সময় ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসার জন্য ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ ছাড়া বন্যা বা দুর্যোগেও ছাত্রলীগ গিয়েছে, মানুষের কল্যাণ করেছে। করোনার সময় ছাত্রলীগ ধান কেটেছে। আমি বলেছি, তোমাদের ধান কাটতে হবে। সে সময় তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
‘ছাত্রলীগের প্রতি আমার অনেক বিশ্বাস ও অনেক আস্থা’ উল্লেখ করে বলেন, ‘২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। ১৯৯৬-২০০১-এ অল্প সময় পেয়েছিলাম, পাঁচ বছর ছিলাম। আমরা অনেক উন্নত করেছিলাম। এরপরে খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আমি ছাত্রলীগের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। অশিক্ষিত মূর্খের হাতে খাতা তুলে দিলে দেশ এগোয় না, উন্নত হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অনেক সংগঠন মানবাধিকারের কথা বলে। ৮১ সালে যখন আমি ফিরে এসেছি, তখন তো আমি মা-বাবা-ভাইবোন হত্যার বিচার চাইতে পারিনি। জিয়াউর রহমান খুনিদের ক্ষমতায় বসায়। প্রতি পদেপদে বাধা সৃষ্টি করেছিল।,কিন্তু কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি বাবার স্বপ্নপূরণ ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে দেশে এসেছি।
সরকার প্রধান বলেন, মাঠের পর মাঠ হেঁটেছি। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছি। দেখতে চেয়েছি, এদেশের মানুষের কী অবস্থা? আমার বাবা-মার রক্ত নিয়ে তারা দেশের কী করেছে? তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। যদি তারা আদর্শ নিয়ে চলতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।