ড. ইউনূসকে নেওয়া বিৃবতির পাল্টা বিবৃতি ১৩ সাংস্কৃতিক সংগঠনের
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ১৬০ বিশ্বনেতার বিবৃতি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। আরও ১২ সাংস্কৃতিক সংগঠন একই দাবি তুলেছেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক মীর মাসরুর জামান রনি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, ড. ইউনূসকে নিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নোবেলজয়ীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে তারই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীর দায়ের করা মামলার কার্যক্রম বন্ধের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এ আহ্বান আইনের শাসন এবং একটি দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল। আমরা তাদের এ ধরনের বেআইনি এবং অনভিপ্রেত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে আমরা মনে করি, বিবৃতিদাতাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে, ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১৬৮টি মামলায় আইনের কোন কোন ধারা লঙ্ঘন করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ড. ইউনুসকে অন্যায়ভাবে অপদস্ত করছে, তা তুলে ধরা। আর তারা যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে এটা ধরে নেয়াই যুক্তিযুক্ত হবে যে, বিবৃতিদাতারা প্রকৃত সত্য না জেনে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেশের সংবিধান এবং আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ১৬০ জনের এ বিবৃতির সঙ্গে বাংলাদেশ বিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ সরকারের নিকট দাবি জানান।’
বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হলো—সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ, অভিনয় শিল্পী সংঘ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।