যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৩০
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় দলটির নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তখন তাদের নিবৃত্ত করতে লাঠিচার্জ করে। মিছিল থেকে জামায়াতের ৩০ জনের মতো নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালের দিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার থেকে বের করা হয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় বাধা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু সাদিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, কামরুল আহসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজ সভাপতিসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমির-সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মিছিলে পুলিশ অতর্কিত গুলি চালায় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তাদের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, ‘মিছিল থেকে জামায়াতের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তখন পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে লাঠিচার্জ করে। গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানি না।’