স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় মাসুদ সিকদার নামে যুবলীগের এক কর্মী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আর আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৩ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের ২২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় জেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক রেজাউল করিমকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে। পরবর্তীতে কমিটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে দেয় আসামিরা।
গত ৬ সেপ্টম্বর শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় বাদী এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিলনসহ আসামিরা তাকে মারধর করেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি বাদী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফকে জানালে তারা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এ ধরনের কোনো কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়নি।
পরে, এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ শহরে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগে মিলনের আট অনুসারীকে আটক করে। অবশ্য, পরবর্তীতে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুবলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কমিটি ছড়ানো হয়েছে, সেটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এই গুজব ও অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিলন বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেগুলো সবই ভিত্তিহীন। একটি কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার নোংরা খেলায় মেতেছে। তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যার মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করা হয়েছে।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’