হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার চান আহত ছাত্রলীগনেতা নাঈম
সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদের স্থায়ী বহিষ্কার চান চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। শুধু তাই নয়, তাকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান ছাত্রলীগের এই নেতা।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন নাঈমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে এসব দাবির কথা জানান।
নাঈমের খালা মাসুদা আক্তার বলেন, ‘নাঈম কত ভদ্র ছেলে। সবাই ওকে ভালোবাসে। কেউ কোনোদিন নাঈমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি।’
এ প্রতিবেদক মাসুদা আক্তারের কাছে জানতে চান, ওদিনের ঘটনা নিয়ে নাঈম কিছু বলেছে কি-না? জবাবে তিনি বলেন, ‘নাঈম প্রথমে গিয়ে ছাত্রলীগের পরিচয় দেয়। এরপর বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এডিসি হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন—ছাত্রলীগ তো কী হয়েছে? ছাত্রলীগ করে কি আমি এ পর্যন্ত এসেছি?’ তারপর তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেটাকে পিটিয়ে পিটিয়ে কী করলেন ওই গুণ্ডা! ঠোঁট কেটে গিয়েছিল বলে আগে ভালো খেতে পারছিল না। আজ সকাল থেকে টুকটাক খাচ্ছে। আমরা কখনোই ভাবিনি, নাঈমের সঙ্গে এসব ঘটতে পারে।’
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘুম থেকে উঠলে নাঈমের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বললেন, ‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে। গতকাল রাতে অবস্থা একটু খারাপ ছিল। সকালে ডিম খেয়েছি। কলা খেয়েছি। ফলের রস খেয়েছি। এ ছাড়া লিকুইড জাতীয় খাবার খাচ্ছি। চারটি দাঁত নড়ছে। নাকে বেশি লেগেছে।’
হারুনকে সাময়িক বহিষ্কার ও এক পরিদর্শককে বদলির প্রতিক্রিয়ায় নাঈম বলেন, ‘হারুনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। শুধু তাই নয়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হোক। এ ছাড়া ওই পরিদর্শককেও গ্রেপ্তার করে বহিষ্কার করা হোক। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
তখন এ প্রতিবেদক মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে নাঈম বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব, মামলা করব কি-না। এ সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’
আনোয়ার হোসেন নাঈমের চিকিৎসক ফ্যাকাল্টি অব সার্জারি বিভাগের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কয়েকটি দাঁতে আঘাত পেয়েছেন নাঈম। নাকের হাড় ভেঙে গেছে। আগামী চার-পাঁচদিন পর তাঁর নাকে অপারেশন করা হবে। এ ছাড়া শরীরের আরও বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। মোটামুটি এক সপ্তাহের বেশি সময় তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে।’