সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তিনি বলেছেন, ‘পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব, মামলা করব কি-না।’ যদিও হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে তিনি তার গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান ছাত্রলীগের এই নেতা।

আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন নাঈমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে এসব দাবির কথা জানান।

আনোয়ার হোসেন নাঈমের চিকিৎসক ফ্যাকাল্টি অব সার্জারি বিভাগের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কয়েকটি দাঁতে আঘাত পেয়েছেন নাঈম। নাকের হাড় ভেঙে গেছে। আগামী চার-পাঁচদিন পর তাঁর নাকে অপারেশন করা হবে। এ ছাড়া শরীরের আরও বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। মোটামুটি এক সপ্তাহের বেশি সময় তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে।’

হারুনকে সাময়িক বহিষ্কার ও এক পরিদর্শককে বদলির প্রতিক্রিয়ায় নাঈম বলেন, ‘হারুনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। শুধু তাই নয়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হোক। এ ছাড়া ওই পরিদর্শককেও গ্রেপ্তার করে বহিষ্কার করা হোক। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে নাঈম বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব, মামলা করব কি-না। এ সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’