গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই চেতনা ফেরত চাই।
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় জাসাসের ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন।
এরপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে সাধারণ মানুষকে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আমিনুল হক ও গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে ছিল বাকশাল। এখন যে অবস্থা; তখনও ছিল। তখন ছিল রক্ষীবাহিনী, এখন তাণ্ডব করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যসহ প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারি-কর্মকর্তাদের বলব, আপনারা যে পেশায় আছেন, তারা যদি পেশাদারত্ব নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আগামী দিনে নিজ নিজ পেশায় সম্মানের সঙ্গে থাকবেন। এখানে কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে যুদ্ধটা করছেন, তা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুদ্ধ নয়; দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ জন্য তিনি বলেছেন, টেকব্যাক বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফাও ঘোষণা করেছেন।’
ভিসানীতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্যের বিষয় টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) না-কি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না। আরও নানা কথা বলেছেন। তবে, কদিন আগে ভারতে আন্তর্জাতিক জি-২০ সম্মেলন হল। সেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) কার সঙ্গে সেলফি তুললেন? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে। এটা আবার পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হল। আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে বিএনপিকে ঘিরে মন্তব্যও করেছেন। জবাবে আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ওটা গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন। আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না। তাহলে বুঝতে হবে এই সেলফি সরকার কতটা দুর্বল ও দেউলিয়া যে, তারা সেলফি তুলে তা আবার প্রচার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে হয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দেশের মালিকানা যদি জনগণের কাছে ফেরত দিতে না পারি, গর্বিত জাতি হিসেবে বলত পারব না আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের দখলদার এই ফ্যাসিবাদকে তাড়াতে হবে। যারা তাড়াতে পারবে তারাই দেশপ্রেমিক। এটা করতে পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালের বিছানায় জীবন যুদ্ধে লিপ্ত, তিনিও মুক্তি পাবেন।’
এ অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।