একদিন পর এনআইডি সার্ভার আবারও চালু
একদিন বন্ধ থাকার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার চালু করা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সার্ভারটি আবারও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি অনুবিভাগ।
নিরাপত্তা বাড়ানোসহ রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সার্ভারটি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর নাগাদ এনআইডি সার্ভারটি চালু করা হবে। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই সার্ভারটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের নোটিশে বলা হয়েছে, সার্ভারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার কারণে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সাইবার হামলার শঙ্কায় ১৪ আগস্ট রাত ১২টায় এনআইডি সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল। টানা ৩৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ১৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় আবার চালু করা হয়।
এদিন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, ‘সাইবার হামলার শঙ্কা থেকে ১৪ আগস্ট রাত ১২টায় সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল। আগে থেকেই এ বিষয়ে ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবেন—এমন শঙ্কায় ব্যক্তি পর্যায়ে জানানো হয়নি।’
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভাণ্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, এনআইডির তথ্যভাণ্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কম-বেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাইসংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি কয়েক লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।