খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে নতুন করে অবনতিও হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। প্রতিদিনই কিছু টেস্ট করা হচ্ছে। এগুলোর ফলাফল দেখে ওষুধে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ফলাফল আশানুরূপ নয়। দুয়েকদিন ভালো থাকার পর হঠাৎ কেন অবস্থার অবনতি হয় তার কারণ খুঁজতে মেডিকেল বোর্ড সোমবার আবারও বৈঠকে বসবে। এতে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ কথা বলেন।
মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য বলেন, ‘এখন লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া দেশে কোনো চিকিৎসা নেই। উনার যেহেতু নানা জটিলতা তাই মাল্টিপুল ডিসিপ্ল্যানারি সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। লিভার সিরোসিসের কারণে শরীরে পানি জমে যাচ্ছে। এগুলো দুয়েকদিন পরপর বের করা হচ্ছে। দেশে যতটুকু সম্ভব তার সর্বোচ্চ দেওয়া হচ্ছে। আর ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স (দেহে খনিজ অসমতা) হওয়ায় শরীরে দুর্বলতা রয়েছে। এগুলোর উন্নতির চেষ্টা চলছে। স্যুপ ও তরল জাতীয় কিছু ছাড়া তিনি তেমন কিছু খেতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানায় সারাক্ষণ থাকছে হচ্ছে ইনজেকশন ও স্যালাইনের ওপর।’
ওই চিকিৎসক আরও জানান, শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তেমন কথা বলতে পারেননি। ইশারায় কুশলাদি বিনিময় করেছেন মহাসচিব। বিএনপির চেয়ারপারসনের শয্যাপাশে রয়েছেন তার ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। তিনি গুলশানের বাসা থেকে শ্বাশুড়ির জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যান। ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ, লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।