শুধু আমেরিকা নয়, দেশবাসীও সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনেক আশা করে আমেরিকা গিয়েছিলেন। মনে করেছিলেন, একটি সুরাহা হবে। অথচ, তিনি ওখানে থাকতেই বাংলাদেশের ওপর স্যাংশন জারি করল আমেরিকা। এই ভিসা নীতি দেশের জন্য সম্মানের নয়। আজকে শুধু আমেরিকা নয়, দেশের মানুষও এ সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে।’
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিন হরতাল দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা চালু করেছিলেন। এরপর চারটি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সরকার যখন দেখল নিরপেক্ষ নির্বাচনে, সিটি নির্বাচনে তাদের পরাজয় হলো, তখন বুঝতে পারল অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই রাতারাতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করা হলো। সেদিনই বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন দেশে স্থায়ীভাবে সংঘাত সৃষ্টি হবে। হলোও তাই। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাই হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে সারাদেশের মানুষ বলছে এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আজকে গণতন্ত্রকামী কোনো দলই এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায় না ‘
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা পরিকল্পিতভাবে ১৫ বছর ধরে শুধু বিএনপি নয়, দেশের মানুষকে অত্যাচার করে যাচ্ছে। এরা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আন্দোলন স্তব্ধ করতে চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ মাহফিলে আসলেও অযথা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দোয়া মাহফিল থেকে বের হবার পর এক কর্মীকে পুলিশ হঠাৎ করেই এসে বলে—তুমি আমাকে গালি দিয়েছ। এ কথা বলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আবারও অতি উৎসাহী পুলিশ তৎপর হয়েছে।’ এ সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।