আর বেগম জিয়ার মুক্তি চাই না, তাঁকে মুক্ত করব : মির্জা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা এখন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, তাঁকে মুক্ত করব। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করে, জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করব। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চ চলাকালে আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পুলেরহাট, যশোর সদরের মুড়লী ও অভয়নগর থানার নওয়াপাড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, গত ১৫ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ আজ মাঠে নেমে এসেছে। আমরা বলছি না যে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানান। বলছি না যে আমাদের মন্ত্রী বানান। আমরা বলছি, আমাদের ভোটের অধিকারটা দেন। ভোটের অধিকার চাইলেই পোশাকধারীরা আমাদের পেছনে লেগে যাচ্ছে। এ যেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, আমাদের শোষণ ও শাসন করছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারও রাজত্বে বসবাস করি না।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। রিজার্ভ নেই। সব কিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সমস্যায় পড়ে যাবে দেশ।’
জনগণের লুট করা টাকা ফেরত নিয়ে আসেন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠা করে সংসদ ভেঙে দিয়ে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণ মাফ করলেও করতে পারে।
ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা হয়ে বেলা ২টায় রোডমার্চ যশোরের পুলেরহাটে পৌঁছায়। সেখানে সভা শেষে বিকেল ৪টায় যশোর শহরের মুড়লি মোড়ে সভায় বক্তব্য দেন দলের নেতারা। এসব পথসভা দৃশ্যত জনসভায় রূপ নেয়। শত শত মানুষ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে রোডমার্চকে স্বাগত জানায়।
সভাগুলোতে মির্জা আব্বাস ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রের রীতিনীতি মেনে এখন আন্দোলন করছি। কিন্তু যেখানে সার্জারি দরকার সেখানে বছরের পর বছর হোমিওপ্যাথি ডোজ দিলে কাজ হবে না। এখন মার দিতে আসলে পাল্টা মার দিতে হবে। সুতরাং এখন থেকে আন্দোলন হবে ডু অর ডাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে আমরা মুক্ত করতে চাই। দেশ যদি মুক্ত হয়, জনগণ যদি মুক্ত হয়, বেগম খালেদা জিয়াও মুক্ত হবেন।